ডিসফেজিয়া(Dysphagia) বা গলায় খাবার আটকানো সমস্যা এর কারণ, উপসর্গ, জটিলতা ও চিকিৎসা

ডিসফেজিয়া এর মূল এবং মুখ্য লক্ষণ হল খেতে কিংবা পান করতে গিয়ে সমস্যায় পড়া, গলায় খাবার কিংবা পানি আটকে যাওয়া। তবে এছাড়াও আরো বেশ কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো দেখে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার ডিসফ্যাগিয়া আছে কিনা। মুখ গহ্বর, গলবিল, খাদ্যনালী ও গ্যাস্ট্রোসোফেজিয়াল সংযোগস্থলের কোন সমস্যা দরুন যদি খাদ্য-পানীয় গিলতে সমস্যা হয় তবে তাকে ডিসফেজিয়া বলে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় কোন ব্যক্তির খাদ্য বা পানীয় গ্রাস করতে অর্থাৎ খাবার গিলতে যদি সমস্যা হয় তবে তাকে ডিসফেজিয়া বলে। বিভিন্ন রোগ বা অসুস্থতার পরিণামে ডিসফেজিয়া তৈরি হতে পারে।

ডিসফেজিয়া এর লক্ষণগুলো হলো-

খাবার গিলতে না পারা।
কম্পন অনুভব করা।
গলা কর্কশ হয়ে যাওয়া।
অস্বাভাবিক ওজন কমে যাওয়া।
খাবার খুব ছোট টুকরো না হলে না খেতে পারা।
হৃদপিণ্ড জ্বালাপোড়া করা।
খাবার গেলার সময় কফ কিংবা অন্যকিছুতে কন্ঠরোধ হয়ে আসা।
ইত্যাদি।

ডিসফেজিয়া কারণ ও রকমভেদ

যেকোনো সমস্যার পেছনেই কোনো না কোনো কারণ থাকে। ডিসফেজিয়া পেছনের আছে কিছু কারণ। তবে সেগুলোকে একদম নির্দিষ্ট করে নির্ধারণ করা যায় না। ডিসফেজিয়া নানারকম হতে পারে। আর এই রকমভেদের উপর নির্ভর করে সেগুলোর বিভিন্ন কারণও থাকতে পারে।

ডিসফেজিয়া এবং অডিনোফাগিয়া: পার্থক্য কী?

অনেকেই ডিসফেজিয়া এবং অডিনোফাগিয়া কে এক করে ফেলেন। তাদের জন্য দুটোকেই এক মনে হয়। কিন্তু বাস্তবে এই দুটো একেবারেই ভিন্ন দুই বিষয়। ডিসফেজিয়া মানে শুধুই খাবার খাওয়ার সময় কিংবা পানি পান করার সময় সমস্যা বোধ করা। অন্যদিকে অডিনোফাগিয়া তৈরি হয় যখন খাবার কিংবা পানি গ্রহণের সময় ব্যথা অনুভব হয়। এই দুটো সমস্যা অনেকের একইসাথে হতে পারে। যার গলায় খাবার আটকে যাওয়ার সমস্যা আছে তার যে ব্যথা থাকতেই হবে এমনটা কিন্তু নয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডিসফেজিয়া এবং অডিনোফাগিয়া একসাথেই হয়ে থাকে।