খুশকি(Dandruff) এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

খুশকি ত্বকের বিশেষ একটি অবস্থাকে বুঝায়, যা মূলত মাথার খুলিতে বেশী দেখা যায়। এতে চর্মরেণু মাথার ত্বক থেকে আঁশের মত উঠে উঠে আসে, এবং ঝরে পড়ে। খুশকি আত্মসম্মানের এমনকি সামাজিক সমস্যাও তৈরী করতে পারে। এ অবস্থার আরও ভয়াবহ রূপ হলো সেবোরেইক ডারমাটাইটিস বা ত্বকের তৈলাক্ত ও চুলকানিপ্রবণ অবস্থা।

খুশকি আমাদের শরীরের অন্যতম একটি সমস্যা। খুশকি হলে মাথায় প্রচণ্ড চুলকানি সহ নিয়মিত চুল পড়তে পারে। মাথার ত্বক বা স্কাল্পে এক ধরণের ফাঙ্গাস অতিরিক্ত হওয়ার কারণে এটি হয়ে থাকে। চলুন জেনে নিই খুশকি হওয়ার কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে।

খুশকির স্পষ্ট কোন কারণ জানা না গেলেও, ধারণা করা হয় জিনগত ও পরিবেশগত কারণে খুশকি হতে পারে। শীতকালে যেটা আরও বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।খুশকির পেছনে কারণ হিশেবে অপরিচ্ছন্নতাকে দায়ী করা হলেও, মূলত তার সাথে এর সম্পর্ক নেই। ত্বকের কোষের মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণে খুশকি হয়ে থাকে। লক্ষণের উপর ভিত্তি করে খুশকির রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা করা হয়।

মাথার ত্বক বা স্কাল্পে একটা সাধারণ চক্র হিসাবে সবসময় কিছু নতুন কোষ উৎপন্য হয় ও কিছু পুরনো কোষ ঝরে যায়। তবে যদি পুরনো মরা কোষ জমে যায় এবং সাদা আঁশের মতো গুঁড়া পড়তে থাকে এবং চুলকানি হয় যাকে আমরা খুশকি বলে থাকি। স্ক্যাল্পের শুষ্ক চামড়া যা ম্যালেসেজিয়া নামক এক ধরণের ফাঙ্গাস অতিরিক্ত হওয়ার কারণেই খুশকি হয়ে থাকে। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই মাথায় খুশকি হওয়ার কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে।

খুশকির কোন সাধারন প্রতিকার নেই। অ্যান্টিফাংগাল ক্রিম বা স্যালিসিলিক অ্যাসিড ব্যবহার করে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের অর্ধেকই এ অবস্থার স্বীকার, যেখানে মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের মধ্যে আক্রান্তর হার বেশী। পৃথিবীর প্রায় সব জায়গার লোকই খুশকিতে আক্রান্ত হয়।

কারণ

অনেক কারণেই খুশকি হতে পারে। খুশকির সবচেয়ে সাধারণ কারণ বলা যেতে পারে সেবোরেইক ডারমাটাইটিস বা ত্বকের তৈলাক্ত ও চুলকানিপ্রবণ অবস্থাকে।

এক ধরনের ছত্রাক আছে যার নাম মেলাসেজিয়া। সব প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মাথার খুলিতেই এই মেলাসেজিয়া ছত্রাক থাকে। মেলাসেজিয়া নতুন ত্বক কোষ জন্মাতে সহায়তা করে। কিন্তু ত্বকে ময়লা জমে তেল চিটচিটে অবস্থার মধ্যে এই ছত্রাক বিপদে ফেলতে পারে। এ অবস্থায় জন্মানো অতিরিক্ত ত্বক কোষগুলো মরে যায় এবং ঝরে পড়ে। মাথা থেকে ঝরে পড়া সাদা-হলদে খুশকি আসলে আমাদের ত্বকের মৃত কোষ। তবে, মাথা ছাড়াও বাহুমূল, ঊরুসন্ধিসহ শরীরের অন্যত্রও খুশকি হতে পারে।

প্রকৃতপক্ষে খুশকি কোনো রোগ বা রোগের লক্ষণ নয়। মাথার লোমকূপে ময়লা জমে এবং ছত্রাকের প্রভাবে সাধারণত খুশকি হয়ে থাকে। নিম্নে খুশকি তৈরি হওয়ার কিছু অবস্থা বর্ণনা করা হলো।

১। শুষ্ক ত্বক

শীতের সময় আবহাওয়ায় আর্দ্রতা কমে যাওয়ার ফলে দেহের ত্বকের পাশাপাশি মাথার ত্বকও শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে খুশকি বেশী হয়ে থাকে। এছাড়া এসময় বাইরের ঠান্ডা বাতাস ও ঘরের তুলনামূলক গরম বাতাসের ফলে তাপমাত্রার যে অসামাঞ্জস্যতা দেখা যায় সে কারণেও খুশকি হতে পারে।
২। চুল যথেষ্ট পরিমাণে না আঁচড়ানো

চুল যথেষ্ট পরিমাণে না আঁচড়ালেও খুশকি হতে পারে। যদি চুল কম আঁচড়ানো হয় তাহলে মাথার ত্বকের চামড়ার ঝরে যাওয়ার প্রবণতা অনেক কমে যায়। ফলে মাথায় খুশকির সৃষ্টি হয়।

৩। মাথায় অতিরিক্ত তৈল ব্যাবহার

যারা মাথায় অতিরিক্ত তৈল ব্যবহার করে তাদের খুশকির সংক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ব্যবহার করা তেল স্তুপ আকারে চুলের গোড়ায় জমা হয়ে পরবর্তীতে সেখানে ছত্রাকের প্রাদুর্ভাব ঘটে যার ফলে মাথায় খুশকির পরিমান বেড়ে যায়।


৪। শ্বেত প্রদর জাতীয় অসুখে আক্রান্ত হলে

ঈস্ট জাতীয় ( শ্বেত প্রদর জাতীয় ) অসুখ বা এলার্জির সমস্যা আছে এরুপ ব্যক্তিদের খুশকির প্রবণতা বেশী লক্ষ্য করা যায়। মহিলাদের এ সমস্যা বেশী পরিলক্ষিত হয়। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ও ঈস্ট কাউন্টারএক্ট করে ও খুশকি হওয়ার প্রবণতাকে বাড়িয়ে তোলে।


৫। পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্যাম্পু না করা

যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্যাম্পু না করা হয় তাহলে মাথার ত্বক অপরিষ্কার থাকে। এর ফলেও মাথায় খুশকির উৎপত্তি হতে পারে।

৬। সঠিক খাদ্যাভাসের অভাব

সঠিক খাদ্যাভাসের অভাবও খুশকির অন্যতম কারণ। যদি গৃহীত খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি ও জিংক না থাকে তাহলেও খুশকি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া অধিক পরিমাণে চর্বি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করলেও খুশকি হতে পারে।


৭। ম্যালেসেজিয়া নামক ফাঙ্গাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া

সকলের স্ক্যাল্পেই ম্যালেসেজিয়া নামক এক ধরণের ফাঙ্গাস অল্প পরিমাণে থাকে এবং তেমন কোন সমস্যার সৃষ্টি করে না। তবে মাথার ত্বকে ফাঙ্গাসটির পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে তা ত্বকের ক্ষরিত তেল শোষণ করে নেয়। এর ফলে স্ক্যাল্প অতিরিক্ত ত্বকীয় কোষ উৎপাদন করে থাকে। এ সকল অতিরিক্ত কোষ মৃত হলে স্ক্যাল্প ও চুলের তেলের সাথে মিশে খুশকির সৃষ্টি করে।


৮। অতিরিক্ত মানসিক চাপ

অতিরিক্ত মানসিক চাপও খুশকির একটি অন্যতম কারণ। যারা অতিরিক্ত চাপের মধ্যে থাকেন তাদের খুশকি হওয়ার প্রবণতা বেশি পরিলক্ষিত হয়।

৯। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া

যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের খুশকি বেশি হয়ে থাকে। এছাড়া বিশেষ কিছু রোগ যেমন- পারকিন্সন ডিসিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক, সেন্সিটিভ ত্বক ও ত্বকের সমস্যা (সোরিয়াসিস, একজিমা) ইত্যাদি যাদের রয়েছে তাদেরও খুশকির প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। কিছুদিন আগের একটি গবেষণায় পাওয়া যায় যে ১০.৬% মানুষ যাদের এইচ.আই.ভি আছে তাদের খুশকির সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।

১০। পানির সমস্যার কারণে

অনেকসময় পানির সমস্যার কারণেও খুশকি হতে পারে। যদি পানিতে ক্লোরিনের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে ত্বক তাড়াতাড়ি শুষ্ক হয়ে যায় যা মাথায় খুশকির কারণ হয়ে ওঠতে পারে।

প্রতিরোধে করনীয়:

১। শ্যাম্পু ব্যবহার

যাঁদের প্রায়ই খুশকি হয় তাঁরা নিয়মিত চুলে পরিমিত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।

২। মাথায় স্কার্ফ ব্যবহার

বাইরে বের হলে ধুলোবালি মাথায় জমে খুশকির প্রাদুর্ভাব বাড়িয়ে তোলে। তাই এই সমস্যা দূর করতে মাথায় স্কার্ফ বা ওড়না ব্যবহার করা যেতে পারে।

৩। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন

চুলের খুশকি নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। এজন্য মাথার ত্বক ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খাওয়া সহ চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।

৪। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা

খুশকিমুক্ত চুলের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খুবই গুরুত্বপুর্ণ। চুল অপরিষ্কার থাকলেই খুশকি বেশি হয়। তাই নিয়মিত চূল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

৫। ভেজা চূল জলদি শুকিয়ে নেওয়া

ভেজা অবস্থায় চুল বেঁধে রাখা ঠিক নয়। এজন্য গোছলের পর যত দ্রুত সম্ভব চুল ভালো করে মুছে নিতে হবে। প্রয়োজনে ধীরে ধীরে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিতে হবে। এছাড়া চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নেওয়া ভালো।

খুশকি হলে দ্রুত তার প্রতিকার করা দরকার। নইলে এই সমস্যা থেকে চুলপড়াসহ নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই খুশকি প্রতিরোধে শ্যম্পু ব্যবহারের পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ও খাবারের বিষয়েও সমান মনযোগী হওয়া প্রয়োজন।

হোমিওপ্যাথিতে খুশকির জন্য যে সমস্ত ঔষুধ ব্যাবহার করা হয় তা হল:

থুজা (Thuja), ন্যাট্রাম মিউর (Natrum Muriaticum), ক্যালি সালফ (Kali Sulphuricum), গ্রাফাইটিস্ (Graphites), ফসফরাস (Phosphorus), কার্বোনিয়াম সালফ (Carboneum Sulphuratum), সালফার (Sulphur), এমন মিউর (Ammonium Muriaticum), লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium), মেজেরিয়াম (Mezereum), আর্সেনিক অ্যালবাম (Arsenic album), ব্যারাইটা কার্ব (Brayta Carbonica), ব্রায়োনিয়া আলবা (Bryonia Alba), মেডোরিনাম (Medorrhinum), ওলিয়েন্ডার (Oleander), সোরিনাম (Psorinum), সিপিয়া (Sepia), অ্যালুমিনা (Alumina), ব্যাডিয়াগা (Badiaga), হেরাক্লেম স্পনডিলিউম (Heracleum Sphondylium), ক্যালি কার্ব (Kali Carbonicum), ম্যাগনেসিয়াম কার্ব (Magnesium Carbonicum), স্যানিকিউলা (Sanicula Aqua), কচলিরিয়া (Cochlearia) সহ আরো বেশ কিছু ঔষুধ ।

আর্সেনিক অ্যালবাম (Arsenic album)-পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পছন্দকারী সৌখিন,শীত কাতর,মাথায় ঠান্ডা জলে আরাম বোধ,রোগীদের মাথার চুলের গোড়ায় খুস্কি পড়ায় একটি মহৎ উপকারী ঔষধ।

মেজেরিয়াম (Mezereum): মেজেরিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলাে মাথার থেকে মােটা মােটা চামড়ার মতাে চলটা উঠতে থাকে, এগুলাের নীচে আবার পুঁজ জমে থাকে, চুল আঠা দিয়ে জট লেগে থাকে, “জ থেকে এক সময় দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে, চুলকানীর জন্য রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় ইত্যাদি।

স্যানিকিউলা (Sanicula Aqua): স্ক্যালি ড্যান্ড্রাফের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়

ওলিয়েন্ডার (Oleander): ওলিয়েন্ডার চুলের খুসকির একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলাে মাথায় ভীষণ চুলকানি, চুলকানির পরে হুল ফোটানাের মতাে ব্যথা, স্তন্যদানের পর শরীরে কাঁপুনি, চোখ তেড়া করে তাকালে মাথা ব্যথা ভালাে হয়ে যায়, উদাসীনতা ইত্যাদি।

ব্যাডিয়াগা (Badiaga): কালশিটে, শুষ্ক এবং আঁশযুক্ত খুশকির জন্য ব্যবহৃত হয়

ক্যালি সালফ (Kali Sulphuricum): খুশকি হওয়ার পরবর্তী পর্যায়ে সাধারণত প্রচুর ফোলাভাব এবং জ্বলন থাকে এই প্রতিকারটি কার্যকর হয়। এই অবস্থায় খুশকির হলুদ স্কেল থাকে এবং উষ্ণ পরিস্থিতিতে এবং সন্ধ্যার সময় আরও খারাপ হয়। তবে এটি শীতল মধ্যে ভাল।

কচলিরিয়া (Cochlearia): মাথার চুলের গোড়ায় সাদা গমের ভুসির মত খুস্কিতে ইহা উপকারী।

ন্যাট্রাম মিউর (Natrum Muriaticum): এটি গ্রহণকারী রোগীদের সাধারণত খুশকি এবং একটি তৈলাক্ত এবং মসৃণ স্ক্যাল্প থাকে। শুকনো ফেটে পড়ে বিশেষত মাথার ত্বকের প্রান্তে। অ্যালোপেসিয়া পাশাপাশি চুলের গলিত জ্বলজ্বল এবং জ্বলজ্বল ঘটে।

থুজা (Thuja): এই ঔষধটি শুকনো চুল এবং ফ্লেক্সযুক্ত সাদা, জমিনযুক্ত খুশির জন্য ব্যবহৃত হয় যা সর্বত্রই পড়ে থাকে। এই অবস্থায় চুলকানি খুব সাধারণ এবং সাধারণত রোগীর পক্ষেও খারাপ।

সিপিয়া (Sepia): সিপিয়া খুসকির একটি ভালাে ঔষধ বিশেষত যদি মাথার চামড়া ভেজাভেজা এবং ঘিয়ের মতাে আঠালাে হয়। সিপিয়ার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলাে তলপেটে বল বা চাকার মতাে কিছু একটা আছে মনে হয়, রােগী তলপেটের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পায়খানার রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যাবে এই ভয়ে দুই পা দিয়ে চেপে ধরে রাখে, সর্বদা শীতে কাঁপতে থাকে, দুধ সহ্য হয় না, ঘনঘন গর্ভপাত হয়, স্বামী-সন্তান- চাকরি-বাকরির প্রতি আকর্ষণ কমে যায়।

গ্রাফাইটিস্ (Graphites): লোকে এগুলি ব্যবহার করে যখন তারা মাথার ত্বকের শুষ্কতা অনুভব করে বা মাথার ত্বকে একটি আঠালো এবং চুলকানি সংবেদন করে যা একটি দুর্গন্ধযুক্ত গন্ধ দেয়। যে রোগীরা কিছুটা ফর্সা বর্ণের সাথে লড়াই করে এবং ত্বকের রোগ এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকিতে থাকে, তারাও এই সমাধানটি গ্রহণ করতে ঝোঁকেন। এটি ত্বক তৈরি করে এবং পুনরায় বৃদ্ধিতে উত্সাহ দেয়।

ফসফরাস (Phosphorus): মাথার ত্বকে চুলকানি, খুশকি এবং চুলের বিশাল ব্যান্ডলে পড়ে যাওয়া এই ঔষধ দ্বারা নিরাময় হয়। প্যাচগুলিতে নির্দিষ্ট জায়গায় চুল পড়াও ফসফরাস নেওয়া হয়। এটি সাধারণত যুক্তিযুক্ত ত্বক, ভঙ্গুর eyelashes, স্বর্ণকেশী বা লাল চুল এবং অত্যন্ত সূক্ষ্ম প্রকৃতির সঙ্গে লম্বা পাতলা লোকেরা গ্রাস করে। যে তরুণরা খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে তারা সাধারণত রক্তাল্পতা পায় যা প্রচুর খুশকি সৃষ্টি করে।

কার্বোনিয়াম সালফ (Carboneum Sulphuratum): দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের রোগগুলি এটির মাধ্যমে নিরাময় করে। এটি মদের অপব্যবহার দ্বারা বিচ্ছিন্ন রোগীদের পক্ষে অত্যন্ত কার্যকর ।

সালফার (Sulphur): শুকনো মাথার ত্বকে, অতিরিক্ত চুল পড়া এবং খুশকির কারণে ধ্রুবক ধোয়া ধীরে ধীরে চুল ধোয়া এই সমাধান দ্বারা স্থির করা হয়। উদ্বিগ্ন ব্যক্তিত্ব, দ্রুত গতি, উত্তেজনা এবং সংবেদনশীল ত্বকযুক্ত ব্যক্তিদের এই নিরাময়ের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।