ল্যারঞ্জাইটিস(laryngitis) বা স্বরতন্ত্রীর প্রদাহ এর কারণ, উপসর্গ, জটিলতা ও চিকিৎসা

ল্যারিংক্স অর্থাৎ স্বরযন্ত্র ও ভোকাল কর্ড অর্থাৎ স্বরতন্ত্রীর প্রদাহকে ল্যারিঞ্জাইটিস(laryngitis) বলে। এতে স্বরতন্ত্রীর অসঙ্গত কম্পনের ফলে কণ্ঠস্বর কর্কশ হয়ে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ৩০- ৫০ বছর বয়সীদের মধ্যে এর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। প্রতি ১০০০০জনের মধ্যে ৩৫ জন ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী ল্যারিঞ্জাইটিস(laryngitis)এ ভোগেন।

ল্যারিঞ্জাইটিস(laryngitis) কারণ

  1. ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ
  2. গ্যাস্ট্রো-এসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ(জিইআরডি)
  3. ধূমপান।
  4. মদ্যপান।
  5. শ্বাসের মাধ্যমে উদ্বায়ী পদার্থ, নির্দিষ্ট রাসায়নিক এবং ধোঁয়ার মতো অস্বস্তি সৃষ্টিকারী বস্তু ভিতরে যাওয়া।
  6. ভোকাল কর্ডের উপর অত্যধিক চাপ।
  7. দীর্ঘদিন ইনহেলার ব্যবহার করতে থাকলে গলা বসার সমস্যা তৈরী হতে পারে।

ল্যারিঞ্জাইটিস(laryngitis) এর লক্ষণ ও উপসর্গ

  1. কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন বা কর্কশভাব।
  2. গলাব্যথা
  3. জ্বর
  4. মাথা যন্ত্রণা
  5. কাশি
  6. শ্বাস প্রশ্বাসের সময় সাঁইসাঁই শব্দ
  7. নাক দিয়ে জল পড়া

ল্যারিঞ্জাইটিস(laryngitis) এর প্রকারভেদ

  1. অ্যাকিউট ল্যারিঞ্জাইটিস
  2. ক্রনিক ল্যারিঞ্জাইটিস

ল্যারিঞ্জাইটিস(laryngitis) এ করণীয়

  • বেশি করে পানি পান করতে হবে, যাতে ক্ষতিকর পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়।
  • যেকোনও রকম ধোঁয়া এড়িয়ে চলতে ।
  • গরম লবণ পানি দিয়ে গার্গল করতে ।
  • গলাকে যতটা সম্ভব বিশ্রাম দিতে হবে, জোরে কথা না বলার চেষ্টা করতে হবে।
  • বন্ধ নাক খুলতে শ্বাসের সঙ্গে গরম পানির ভাপ নেওয়া যেতে পারে।
  • বন্ধ নাক খোলার ড্রপ (নাসাল ডিকনজেসট্যান্ট) ব্যবহার না করা উত্তম, এগুলি গলাকে শুকনো করে দেয়।

ল্যারিঞ্জাইটিস(laryngitis) এর চিকিৎসা

ল্যারিঞ্জাইটিস(laryngitis) সাধারণত হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবন এ খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়। কিন্তু ক্রনিক ল্যারিঞ্জাইটিস এর ক্ষেত্রে বেশ দীর্ঘ সময় ধরে হোমিও ওষুধ চালাতে হয়।

এটি নিজে কোনো রোগ নয়। কিন্তু অনেক বড় রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।